কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতার পর টানা পাঁচদিন সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। গত ২৩ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হলেও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ। ফলে ১৩ কোটি গ্রাহক মোবাইল ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, আগামীকাল রবি বা সোমবার মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হতে পারে। এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকও ডাকা হয়েছে। রোববার (২৮ জুলাই) সকালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) মোবাইল অপারেটরগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রতিমন্ত্রী ও বিটিআরসি কর্মকর্তারা। সেখানে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

বৈঠকে সন্তুষ্ট হলে রবি-সোমবার মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক খুলে দেওয়া হবে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ইন্টারনেট শাটডাউন করিনি। ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছিল তিনটি ডেটা সেন্টার ও শত শত কিলোমিটার তার পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য। এজন্য শুধু টেলিকম খাতে ৫০০ কোটি টাকা এবং সব মিলিয়ে শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

পলক বলেন, ১৮ জুলাইয়ের মোবাইল অপারেটরদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকার উত্তরা, রামপুরা, মোহাম্মাদপুর, যাত্রাবাড়ী ও গাজীপুরে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ নতুন সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ঢাক বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ১৮টি আইআইজির সিস্টেম রয়েছে। সেখানে থাকা আইএসপির ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে।

তাই ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে। আমরা বন্ধ করিনি।ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমান ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ।